ফিলিস্তিনি বন্দী নির্যাতনের ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় ইসরায়েলের সাবেক সামরিক প্রসিকিউটর গ্রেপ্তার
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সাবেক প্রসিকিউটর ইয়াফাত তোমের-ইয়েরুশালমি।
ইসরায়েলি পুলিশ দেশটির সেনাবাহিনীর সাবেক একজন প্রসিকিউটরকে গ্রেপ্তার করেছে, যিনি ফিলিস্তিনি এক বন্দীর ওপর নির্যাতনের ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম ইয়াফাত তোমের-ইয়েরুশালমি, যিনি মেজর জেনারেল পদমর্যাদার সাবেক সামরিক প্রসিকিউটর। ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছেন, সোমবার রাতে তাঁকে আটক করা হয়।
ভিডিওটি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ার পর ইসরায়েলজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। সমালোচনার মুখে তোমের-ইয়েরুশালমি তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং এরপর তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
ফাঁস হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ইসরায়েলি সৈন্যরা এক ফিলিস্তিনি বন্দীকে আলাদা স্থানে নিয়ে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে। তাঁদের সঙ্গে একটি কুকুরও রয়েছে। দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণের সরঞ্জাম ব্যবহার করে তাঁরা এমনভাবে নিজেদের কার্যকলাপ আড়াল করেছেন, যাতে বাইরে থেকে কেউ কিছু দেখতে না পারে।
ভিডিও ফাঁসের পর প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘটনাটিকে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে “জনসংযোগের ওপর সবচেয়ে বড় আঘাত” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লা থেকে আল–জাজিরার সাংবাদিক নউর ওদেহ জানিয়েছেন, সাবেক এই প্রসিকিউটরের গ্রেপ্তার ইসরায়েলে “রাজনৈতিক ও আইনি ঝড়” তৈরি করেছে। তবে তাঁর কথায়, এই ঘটনায় ওই নারীর গ্রেপ্তারে অতিরিক্ত মনোযোগ মূল ইস্যু—ফিলিস্তিনি বন্দীদের প্রতি নির্যাতন—থেকে দৃষ্টি সরিয়ে দিচ্ছে।
জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের কারাগারে অন্তত ৭৫ জন ফিলিস্তিনি বন্দীর মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: পরিস্থিতি সামলাতে রাজনৈতিক দলগুলোর দিকে তাকিয়ে সরকার