ফোন শুধু চালু রাখলেই সবসময় ঠিকমতো কাজ করে—এমনটা অনেকেই ভাবেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত রিস্টার্ট করা স্মার্টফোনের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি। রিস্টার্ট বলতে ফোন সম্পূর্ণ বন্ধ করে আবার চালু করা বোঝায়। এতে অস্থায়ী মেমোরি (RAM) পরিষ্কার হয়, ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকা অনর্থক অ্যাপ বন্ধ হয় এবং অপারেটিং সিস্টেম নতুন করে কার্যক্রম শুরু করে—যেন ফোনটি এক ধরনের “রিফ্রেশ” পায়।
রিস্টার্ট করার ফলে ফোনের পারফরম্যান্স বিভিন্নভাবে উন্নত হয়। প্রথমত, ফোন আগের তুলনায় দ্রুত কাজ করে এবং স্লো বা হ্যাং সমস্যা কমে যায়। দ্বিতীয়ত, অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ বন্ধ থাকায় ব্যাটারি বেশি সময় ধরে চার্জ ধরে। তৃতীয়ত, অ্যাপ ক্র্যাশ বা হঠাৎ হ্যাং হওয়ার সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়। চতুর্থত, নেটওয়ার্কের সমস্যা—যেমন কল ড্রপ, সিম বা মোবাইল ডেটা সমস্যা—রিফ্রেশ হয়ে ঠিকমতো কাজ করতে শুরু করে। এছাড়া দীর্ঘসময় ব্যবহারের ফলে ফোন গরম হয়ে গেলে রিস্টার্ট দিলে তা ঠান্ডা হয় এবং প্রসেসর কিছুটা বিশ্রাম পায়।
কখন রিস্টার্ট করা উচিত? বিশেষজ্ঞরা সপ্তাহে অন্তত একবার ফোন রিস্টার্ট করার পরামর্শ দেন। ফোন হঠাৎ স্লো হয়ে গেলে বা বেশি গরম হলে সঙ্গে সঙ্গে রিস্টার্ট করা ভালো। যারা অনেক অ্যাপ ব্যবহার করেন, তাঁদের জন্য প্রতি ৩–৪ দিন পরপর রিস্টার্ট করা উপকারী। তবে রিস্টার্টের বদলে ফ্যাক্টরি রিসেট করা ঠিক নয়, কারণ এটি সব ডেটা মুছে ফেলতে পারে। আবার প্রতিদিন বারবার রিস্টার্ট করাও ফোনের হার্ডওয়্যারের উপর চাপ ফেলে। নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট করা থাকলে রিস্টার্টের প্রয়োজন কিছুটা কমে যায়।
মাত্র এক মিনিটের কাজ হলেও নিয়মিত রিস্টার্ট ফোনের গতি বাড়ায়, ব্যাটারির আয়ু বৃদ্ধি করে, অ্যাপ ক্র্যাশ কমায় এবং সামগ্রিক কর্মক্ষমতা উন্নত করে। তাই দীর্ঘদিন স্মার্টফোন ভালো রাখতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস হয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন: সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত যেসব পাসওয়ার্ড