স্মার্টফোন এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। কিন্তু বেশির ভাগ সময় আমরা না জেনেই আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য—যেমন অবস্থান, কথোপকথন, সার্চ হিস্ট্রি ও অনলাইন ব্যবহার—গুগল, ফেসবুকসহ বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করে ফেলি। এসব ডেটার ওপর ভিত্তি করেই আমাদের সামনে টার্গেটেড বিজ্ঞাপন, সাজেস্টেড ভিডিও, রিলস বা অন্য কনটেন্ট দেখানো হয়, যা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
তবে সুখবর হলো—কিছু সহজ সেটিংস বন্ধ করলেই এই ডেটা ট্র্যাকিং অনেকাংশে কমানো সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের মতে, গুগল ও ফেসবুকের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সেটিংস পরিবর্তন করলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য আরও নিরাপদ থাকবে।
১. গুগলের Voice & Audio Activity
গুগল আপনার ভয়েস ও অডিও রেকর্ড সংরক্ষণ করে ব্যবহার অভিজ্ঞতা উন্নত করার চেষ্টা করে। কিন্তু এটি ব্যক্তিগত গোপনীয়তার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
বন্ধ করার পদ্ধতি:
-
গুগল অ্যাপ খুলুন
-
প্রোফাইল আইকনে ট্যাপ করুন
-
‘Data & Privacy’-এ যান
-
Voice & Audio Activity বন্ধ করুন
এটি বন্ধ করলে আপনার ভয়েস ও অডিও আর গুগলের সার্ভারে সংরক্ষিত হবে না।
২. Personalized Ads
আপনার সার্চ হিস্ট্রি, ব্রাউজিং প্যাটার্ন ও অ্যাপ ব্যবহারের ওপর ভিত্তি করে গুগল টার্গেটেড বিজ্ঞাপন দেখায়। চাইলে আপনি এই ফিচার বন্ধ করে নিজের ডেটা আরও সুরক্ষিত রাখতে পারেন।
বন্ধ করার পদ্ধতি:
-
গুগল অ্যাপ খুলে ‘My Ad Center’-এ যান
-
‘Personalized Ads’ টগল বন্ধ করুন
এতে আপনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা বিজ্ঞাপন দেখানো বন্ধ হবে এবং সার্চ সম্পর্কিত ডেটাও আরও নিরাপদ থাকবে।
৩. লোকেশন ট্র্যাকিং
লোকেশন ট্র্যাকিং সুবিধা আমাদের চলাচল সহজ করে দিলেও প্রতিটি গতিবিধি গুগলের সার্ভারে পৌঁছে যায়।
বন্ধ করার পদ্ধতি:
-
গুগল ম্যাপস অ্যাপ খুলুন
-
প্রোফাইল আইকনে ট্যাপ করুন
-
‘Your Data in Maps’-এ যান
-
Location History বন্ধ করুন
এভাবে গুগল আপনার চলাচল সংরক্ষণ করা বন্ধ করবে এবং গোপনীয়তা বাড়বে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে চালু হলো অত্যাধুনিক ভূমিকম্প সতর্কতা ব্যবস্থা