ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেই হেরে পড়েছিল বাংলাদেশ। তাই সিরিজে টিকে থাকতে আজকের ম্যাচটি ছিল বাঁচা-মরার লড়াই। কিন্তু চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছে টাইগাররা। ফলে ১৫০ রানের লক্ষ্য ছুঁতে না পেরে ১৪ রানের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে লিটন দাসদের। এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে শাই হোপের নেতৃত্বাধীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
প্রথমে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তোলে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। জবাবে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ থেমে যায় ১৩৫ রানে। টানা চারটি টি–টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর এটি বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ হার। অন্যদিকে, গত নয়টি সিরিজে এটি ক্যারিবীয়দের মাত্র দ্বিতীয় জয়—এর আগে সর্বশেষ গত জুনে আয়ারল্যান্ডে সিরিজের একমাত্র ম্যাচটি জিতেছিল তারা।
লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র লড়াই করেছেন তানজিদ হাসান তামিম। ৪৮ বলে ৩টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬১ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন তিনি। কিন্তু বাকিদের ব্যর্থতায় জয় দূর আকাশের তারা হয়েই থেকে যায়। পাওয়ারপ্লেতে ১ উইকেটে ৩৭ রান তুললেও পরের ১০ ওভারে আসে মাত্র ৭১ রান। শেষ চার ওভারে ৪২ রান দরকার থাকলেও ২৭ রান তুলতে গিয়ে হারায় ৫ উইকেট।
বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতার সারিতে নাম লেখান ওপেনার সাইফ হাসান (৫), অধিনায়ক লিটন দাস (২৩), তাওহিদ হৃদয় (১২) ও জাকের আলী (১৭)। জীবন পেয়ে টিকে থাকলেও কেউই তা কাজে লাগাতে পারেননি। তানজিদের বিদায়ের পর ব্যাটিং ধসে হেরে যায় স্বাগতিকরা।
ক্যারিবীয়দের হয়ে বল হাতে দাপট দেখান রোমারিও শেফার্ড ও আকিল হোসেইন—দুজনই নেন তিনটি করে উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড়ো সূচনা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১১ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ১০৫ রান। অ্যালিক অ্যাথানেজ ও শাই হোপের ব্যাটে আসে ১০৫ রানের জুটি। অ্যাথানেজ করেন ৩০ বলে ৫২, হোপ ৩৬ বলে ৫৫ রান। কিন্তু এরপর চমৎকারভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেনের দারুণ বোলিংয়ে ২২ বলে মাত্র ১২ রানে ৫ উইকেট হারায় অতিথিরা।
শেষ দিকে রোস্টন চেইজ ও শেফার্ডের ছোট ইনিংসে ভর করে ১৪৯ রানে থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। মুস্তাফিজ শেষ ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে নেন দুইটি উইকেট।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি আগামী শুক্রবার একই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।