বাংলাদেশ ফরেস্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএ) নবম পে স্কেলে সরকারি চাকরিজীবীদের ঈদ বোনাস দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দিয়েছে। একই সঙ্গে সংগঠনটি সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ বেতন এক লাখ ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে।
বুধবার (২৮ অক্টোবর) জাতীয় বেতন কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিএফএ তাদের লিখিত প্রস্তাব উপস্থাপন করে।
সংগঠনটি সব গ্রেডের সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বাড়ি ভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৬০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে। এ সুবিধা যেন সব ক্ষেত্রেই সমানভাবে প্রযোজ্য হয়, তা-ও উল্লেখ করা হয়েছে প্রস্তাবে।
লিখিত প্রস্তাবে বলা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বন অধিদপ্তরে কর্মরত ডিপ্লোমা-ইন-ফরেস্ট্রি ডিগ্রিধারী সব ফরেস্টারদের বেতনগ্রেড অন্যান্য ডিপ্লোমাধারীদের মতো ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা এবং দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা (রিট নং ৭০০১/২০১৭ ও সিভিল পিটিশন নং ২৭৩৬/২০২১) অনুযায়ী ফরেস্টারদের প্রাপ্য বেতন ও পদমর্যাদা দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিএফএ আরও প্রস্তাব দিয়েছে, একজন সন্তানের জন্য শিক্ষা ভাতা দুই হাজার টাকা এবং দুজন সন্তানের জন্য চার হাজার টাকা নির্ধারণ করা, চিকিৎসা ভাতা প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা, টিফিন ভাতা তিন হাজার টাকা এবং বৈশাখী ভাতা মূল বেতনের সমান দেওয়ার। এছাড়া বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ১০ শতাংশ ও পেনশন ১০০ শতাংশ করার দাবিও করেছে সংগঠনটি।
বন অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ে কর্মরতদের জন্য ঝুঁকি ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ করার দাবি জানানো হয়েছে। সরকারি দায়িত্ব পালনের সময় কেউ আহত বা নিহত হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রাখার আহ্বানও জানিয়েছে বিএফএ।
সংগঠনটি আরও বলেছে, দীর্ঘ বিরতি না দিয়ে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর পে কমিশন গঠন করা উচিত, যাতে মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতনভাতা হালনাগাদ করা যায়।
আরও পড়ুন: ‘আমার দোষ কোথায়? আমিও ন্যায়বিচার চাই’ — সিডনি থেকে শাবনূর